জনাব নূর আহম্মদ ১৯৩৭ সনে বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বৃটিশ শাসনামলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রথম প্রস্তাব পেশ করেন। এরপর মৌলানা মোহাম্মদ মুনীরুজ্জামান ইসলামাবাদী চট্টগ্রামে দেয়াং পাহাড়ে চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাও কার্যকর করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। পরে ড. মহম্মদ শহীদুল্লাহ্ আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরূপ একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। ৭মে ১৯৬১ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ জারী করা হলে ঐ দিনই ড.আজিজুর রহমান মল্লিককে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিযুক্ত করা হয়। ১৮ নভেম্বর ১৯৬৬ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন এবং ২৮ নভেম্বর, ১৯৬৬ বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও অর্থনীতি এই চারটি বিভাগে ৫০ জন করে মোট ২০০ জন ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে ১ম পর্ব, এমএ ক্লাস শুরু হয়। ৭ জন শিক্ষক ৪টি বিভাগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
চট্টগ্রাম শহর হতে বিশ্ববিদ্যালয়টি মাত্র ২২ কি.মি উত্তরে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যথেষ্ট বড়, প্রায় ১৭৫৪ একর জমি, পাহাড়, টিলা, ঝরণা, পুকুর এবং চোখ জুড়ানো সবুজ বৃক্ষাদি দিয়ে সজ্জিত, দক্ষিণে প্রায় ৬০ একর ভূমি নিয়ে দূর্লভ উদ্ভিদ রাজি সমৃদ্ধ একটি বোটানিকাল গার্ডেন আছে।
প্রায় ৬৮৭ জন শিক্ষক বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট, ইনস্টিটিউট ও রিসার্চ সেন্টারে কর্মরত আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ টি অনুষদের অধীন ৩৮ টি ডিপার্টমেন্ট, ৬ টি ইনস্টিটিউট এবং ৫ টি রিসার্চ সেন্টার রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ১০ টি আবাসিক হল আছে। শহর হতে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সার্ভিস ছাড়াও শাটল ট্রেন সার্ভিস চালু আছে। ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোপ বিজনেস এসেম্বলি প্রেসটিজিয়াস আন্তর্জাতিক এওয়ার্ড (শ্রেষ্ঠ আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর ভাইস-চ্যান্সেলর শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থাপক) প্রাপ্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস